মূলধন সংক্রান্ত জাবেদাঃ
১। জনাব কলিম ১০,০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন।
সমাধানঃ নগদান হিসাব ডেবিট ১০,০০০/-
মূলধন হিসাব ক্রেডিট ১০,০০০/-
এখানে লেনদেনটিতে দুটি পক্ষ আছে। শুরূতে আমরা পক্ষ দুটিকে খুজে বের করব। যেহেতু নগদ টাকা নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেছেন তাই নগদান হিসাব একটি পক্ষ অপরদিকে ব্যবসায় শুরুতে যা কিছু ব্যবসায় দেয়া হয় তা সব মূলধন তাই মূলধন আরেকটি পক্ষ। এখন নগদ টাকা সম্পদ এবং লেনদেনটির ফলে ব্যবসায়ের নগদ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নগদান হিসাব ডেবিট হয়েছে। আবার মূলধন ব্যবসায়ের দায় এবং এখানে ব্যবসায়ের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে তাই মূলধন হিসাব ক্রেডিট হয়েছে।
২। জনাব কলিম ১০,০০০ টাকা, ৫,০০০ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র এবং ৫,০০০ টাকা ব্যাংকে জমা নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করলেন।
সমাধানঃ নগদান হিসাব ডেবিট ১০,০০০/-
আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ৫,০০০/-
ব্যাংক হিসাব ডেবিট ৫,০০০/-
মূলধন হিসাব ক্রেডিট ২০,০০০/-
এখানে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, ব্যাংক জমা নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেছেন তাই নগদান
হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব, ব্যাংক হিসাব এগুলো একটি পক্ষ অপরদিকে ব্যবসায় শুরুতে যা কিছু ব্যবসায় দেয়া হয় তা সব
মূলধন তাই মূলধন আরেকটি পক্ষ। এখন নগদ টাকা, আসবাবপত্র, ব্যাংক জমা সম্পদ এবং লেনদেনটির ফলে
ব্যবসায়ের উক্ত সম্পদ গুলো বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নগদান হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব এবং ব্যাংক হিসাব সবগুলো ডেবিট হয়েছে। আবার মূলধন
ব্যবসায়ের দায় এবং এখানে ব্যবসায়ের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে তাই মূলধন হিসাব
ক্রেডিট হয়েছে।
আমরা চাইলে এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ভাবেও জাবেদা করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে জাবেদা গুলো এ রকম হতোঃ
সমাধানঃ নগদান হিসাব ডেবিট ১০,০০০/-
মূলধন হিসাব ক্রেডিট ১০,০০০/-
আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট ৫,০০০/-
মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৫,০০০/-
ব্যাংক হিসাব ডেবিট ৫,০০০/-
মূলধন হিসাব ক্রেডিট ৫,০০০/-