আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সর্বদা নানাবিধ ঘটনা ঘটে থাকে। এদের মধ্যে কিছু ঘটনা আর্থিক আবার কিছু ঘটনা অনার্থিক। আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে অার্থিক ঘটনাগুলোর হিসাব রাখার চেষ্টা করি। কারণ এর ফলে আমরা আমাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। কালের আবর্তনে এই হিসাব রাখার একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি আবিস্কার হলো। যা হিসাব বিজ্ঞান নামে পরিচিতি লাভ করে। তাই আমরা সহজেই বলতে পারি দৈনন্দিন হিসাব রাখার যে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি তাই হিসাব বিজ্ঞান। সহজ কথায় হিসাব বিজ্ঞান হচ্ছে হিসাব বা গননা করার একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি। অর্থাৎ, দৈনন্দিন আর্থিক ঘটনাগুলো যে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে নির্দিশ্ট সূত্র প্রয়োগ করে একটি হিসাবের বইতে সুসৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় তাই হিসাব বিজ্ঞান। আরো বিশদ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় মানুষ তার আর্থিক অবস্থা জানার উদ্দেশ্যে তার দৈনন্দিন সংঘটিত আর্থিক ঘটনাগুলো তার হিসাবের বইতে লিখে রাখার জন্য যে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ও সূত্র প্রয়োগ করে থাকে তাই হিসাববিজ্ঞান।সুতরাং হিসাব বিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞান যেখানে মানুষ বা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার দৈনন্দিন সংঘটিত আর্থিক ঘটনা গুলো সুশৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারে এবং একটি নির্দিশ্ট সময় পরে তার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে।
হিসাব বিজ্ঞান সম্পর্কে আমেরিকান এ্যাকাউন্টিং এসোসিয়েশন এর বক্তব্য হলো, “অন্তত আংশিক ভাবে আর্থিক প্রকৃতি বিশিষ্ট বিভিন্ন প্রকার লেনদেন ও ঘটনা সমূহ অর্থের অঙ্কে লিপিবদ্ধকর, শ্রেণীবদ্ধকরণ এবং ব্যাখ্যার আকারে সংক্ষেপকরণের কলাকৌশলকে হিসাববিজ্ঞান বলে।”
এ ডব্লিউ জনসন এর মতে, “অর্থের অংকে ব্যবসায়ের বিভিন্ন লেনদেন সমূহের সংগ্রহ, সংকলন, সুসংবদ্ধভাবে লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ, বিশ্লেষণ ও বিশদ ব্যাখ্যাকরণকে হিসাব বিজ্ঞান বলা হয়।”
অতএব, হিসাব বিজ্ঞান হলো এমন একটি বিষয় যাতে প্রাত্যহিক আর্থিক ঘটনাগুলো হিসাবের খাতায় বা বইতে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে লিপিবদ্ধ করার কলাকৌশল ও নিয়মনীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় যার ফলে একটি নির্দিশ্ট সময় পরে ব্যবহার কারী তার অথবা তার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে।